বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪১ পূর্বাহ্ন
আমার সুরমা ডটকম : রাজধানীর আসাদগেটে ক্যাথলিক মিশন কনফারেন্স সেন্টারের দোতলার কক্ষে বেশ জটলা। বিভিন্ন বয়সী দম্পতিরা বসে ফরম পূরণ করছেন। কারো সঙ্গে সন্তানেরাও এসেছে, উৎসুক দৃষ্টিতে তারা মা-বাবার বিয়ের নিবন্ধন ফরম পূরণ করা দেখছে। শুক্রবার বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বাংলাদেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিয়ে নিবন্ধনের ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ওই অনুষ্ঠানেই কথা হয় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিজিএম রূপ রতন পাইন ও অর্চনা মানি দাসের সঙ্গে। সামনের এপ্রিলে তাঁদের বিয়ের ১৯ বছর পূর্তি হবে। কিন্তু তাঁদের বিয়ের নিবন্ধন ছিল না। এই দম্পতি জানান, গত বছরের জানুয়ারিতে সুইজারল্যান্ড সফরে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সম্ভবত ভিসা চাওয়ার সময় বিয়ের নিবন্ধনপত্র জমা দিতে পারেননি।
তাঁরা ধারণা করছেন, এই কারণেই রূপ রতনের ভিসা হয়েছিল কিন্তু তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের ভিসা হয়নি। তাই হিন্দুদের বিয়ের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করে আইনি স্বীকৃতি দেয়া উচিত বলে তাঁরা মনে করেন। অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম বলেন, ২০১২ সালে সরকার হিন্দু বিবাহ আইন প্রণয়ন করেছে, ২০১৩ সালে করেছে বিধিমালা। কিন্তু ওই আইনে নিবন্ধনের বিষয়টিকে বাধ্যতামূলক করা হয়নি। এর ফলে অনেক নারী ও শিশু তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই এমন একটি পূর্ণাঙ্গ আইন থাকা উচিত যাতে বিয়ের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ বলেন, ‘হিন্দুদের বিবাহ-পরবর্তী অধিকার নিয়ে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। সামনে আরো অনেক পথ এগোতে হবে। সেই পথে এগোতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’ মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক রিনা রায়ের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন বেসরকারি সংস্থা বাঁচতে শেখার নির্বাহী পরিচালক আঞ্জেলা গোমেজ। অনুষ্ঠানে অন্তত ১২০ দম্পতি তাঁদের বিয়ের নিবন্ধন করেন।